অদম্য অর্পা : একটি স্বপ্ন, একটি দায়বদ্ধতা
- আপলোড সময় : ৩১-০৭-২০২৫ ১২:৫৪:০১ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ৩১-০৭-২০২৫ ১২:৫৪:০১ পূর্বাহ্ন

আমাদের সমাজে মাঝে-মধ্যে এমন কিছু গল্প উঠে আসে, যা শুধু হৃদয় ছুঁয়ে যায় না, প্রশ্ন তোলে আমাদের রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক দায়বদ্ধতাকে। শাল্লা উপজেলার অর্পা তালুকদারের গল্প তেমনই একটি গল্প - একদিকে অভাব-অনটন, অন্যদিকে অদম্য মেধা, সাহস আর সংগ্রাম। হারিকেনের আলো, সেলাই মেশিনের শব্দ, আর নিঃশব্দে বইয়ের পাতায় চোখ রেখে বড় হয়ে উঠেছে যে কিশোরী, সেই অর্পা আজ এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে প্রমাণ করেছে- “স্বপ্নের পাখা কাটলেও ওড়ে”।
তবে এই সাফল্যের পেছনের কষ্টের ইতিহাস আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়- প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসংখ্য সম্ভাবনাময় কিশোর-কিশোরীর ভবিষ্যৎ কীভাবে অর্থাভাবে ঝুলে থাকে। বাবার স্বপ্ন ছিল অর্পাকে ডাক্তার বানানোর। অথচ আজ সেই স্বপ্নের দরজায় তালা ঝুলে থাকার শঙ্কা দেখা দিয়েছে শুধুমাত্র টাকার অভাবে।
এটাই কি আমাদের উন্নয়নযাত্রার প্রতিচ্ছবি? যেখানে একদল শিক্ষার্থী লাখ টাকায় কোচিং করে আরেকদল মায়ের সঙ্গে সেলাই করে রাত জেগে পড়ে? যেখানে টাকার জোরে ভর্তি ফি দেওয়া যায় কিন্তু মেধার জোরে নয়?
অর্পার মতো মেধাবীদের পাশে দাঁড়ানো এখন শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, এটা আমাদের সামাজিক দায়িত্বও। বিত্তবান সমাজসেবী, প্রবাসী বাংলাদেশি, শিক্ষাবিদ, এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে আসলেই অর্পার মতো স্বপ্নবাজ কিশোরীদের পড়ালেখার পথ বন্ধ হবে না।
আমাদের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া ইতোমধ্যেই মেধাবী অর্পা’র পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন, যা অবশ্যই প্রশংসনীয়। আমরা চাই, অর্পার চোখে যেন অনিশ্চয়তা নয়, ভরসা ও ভবিষ্যতের আভা প্রতিফলিত হয়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ